ফেলে আসা সেই দিনগুলি ১
আমার পিতৃদেব যখন আমাদের বর্তমান বাড়িটি তৈরী করান সেটা ইংরাজী ১৯৬৭ সাল। তখন আমার বয়স *** এবং
আমার বোনের বয়স তিন বছর কম। এটি দক্ষ্মিণ ২৪ পরগনার একটি প্রান্তিক গ্রাম। আসলে বাবা কয়েকজন বন্ধু মিলে অনেকটা
জায়গা কেনেন। উদ্দ্যেশ্য ছিল বাগান পুকুর নিয়ে বাবা মা ভাই বোন এবং আমাদের সকলকে নিয়ে একসঙ্গে আনন্দে বাস
করা। কিন্তু তার সেই উদ্দ্যেশ্য সফল হল না। প্রথমত বাবার বন্ধুরা সেই সময় কেওই বাড়ি করলেন না এবং উত্তর
কলকাতার যে জায়গায় থাকতাম সেখানে বাড়ির কাছ দিয়ে গঙ্গা বয়ে গেছে ও অঞ্চলটি জমজমাট বর্ধিষ্ণু জায়গা। সেই জায়গা
ছেড়ে আমার ঠাকুর্দা ঠাকুরমা কাকা পিসিরা কেওই আসতে চাইলেন না। বাবার মনে তখন জেদ চেপে গেছে। মায়ের মত
নিয়ে আমরা চলে এলাম এই পান্ডব বর্জিত জায়গায়। আমাদের বাড়ির চারিদিকে যেদিকে দু'চোখ যায় আদিগন্ত ধানের ক্ষেত।
সিকি কিলোমিটারের মধ্যে কোন মনুষ্য বসতি নেই। একটি নির্জন দ্বীপের মত জায়গায় আমরা বাস করতে লাগলাম। বাড়ি
থেকে তিন কিমি দূরে একটি মিশনারী স্কুলে ভর্তি করা হল আমাকে। *** সময় টুকু বাদ দিয়ে বাড়িতে আমি,মা ও বোন
এই তিনটি প্রাণী। বাবা সকালে অফিস বেড়িয়ে যেতেন। ফিরতে কোন কোন দিন এত রাত হত যখন আমরা দুই ভাই বোন
ঘুমের ঘোরে।
এই কথা গুলি বলে নেবার কারন এই পরিবেশটি বোঝাতে পারলে মূল কাহিনীতে ঢুকতে সুবিধা হবে। যাইহোক এইভাবেই
আমাদের দিন কাটছিল। বর্ষার তিন চার মাস ছিল অবর্ননীয় দূরাবস্হা। আমাদের আনন্দ ছিল মাসে একবার দুই দিনের জন্য
মামাবাড়ি অথবা আমাদের পুরানো বাড়িতে বেড়াতে আসা। অথবা ঠাকুর্দা বা দাদামশাই অথবা মামা কাকারা কখনো বা মাসি
পিসিরা দুই এক দিনের জন্য বেড়াতে এলে। সেই দিনগুলিতে যেন আকাশের চাঁদ পেতাম আমরা। তাঁরা ফিরে যাবার সময়
কাঁদতে থাকতাম। এই ভাবেই কেটে যাচ্ছিল আমাদের গতানুগতিক জীবন। তখন না ছিল টেলিভিশন বা টেপ রেকর্ডার,
না ছিল ডিভিডি বা ভিসিডি। পড়াশোনার ফাঁকে বিনোদন বলতে আমার আট বছরের জন্মদিনে বাবার কিনে দেওয়া একটি
বুশ রেডিও। তাতে মাঝেমধ্যে নাটক বা যাত্রা শুনতাম বা কখনো গান শোনা হত। গান বলতে বেশির ভাগই রবীন্দ্রসংগীত।
রবীন্দ্র অনুরাগী বাবা ও মা এছাড়াও শুনতেন নজরুল,অতুলপ্রসাদ,দ্বীজেন্দ্র,রজনীকান্ত ও বাংলা আধুনিক গান।
আমাদের অবসর সময় আরও কাটত মায়ের মুখের গান বা ছোট বেলার গল্প শুনে। বছরে নিয়ম করে দু'বার বেড়াতে যাওয়া
ছাড়াও বাবা প্রচুর বই কিনতেন। পড়াশোনার বাইরে অনেক গল্পের বই পড়তাম।
এইভাবে কেটে গেল দীর্ঘ আট বছর। আমি তখন *** উঠেছি।১৮ বছর বয়সেও এই পরিবেশে থাকার ফলে এবং আমাদের মিশনারী
*** কঠোর অনুশাষনে থাকায় জৈবিক জগৎ বিশেষ করে নারী-পুরুষের যৌন সম্পর্ক সম্বন্ধে একেবারেই অজ্ঞ ছিলাম।
এমনকি নারী শরীর সম্পর্কে সাধারন ও স্বাভাবিক আকর্ষণটুকুও জন্মায় নি। কিন্তু একদিন সব তোলপাড় হয়ে গেল।
আমাদের পাশে তখন প্রায় একসাথে দু'টি বাড়ি তৈরী হল। দীর্ঘদিন বাদে প্রতিবেশী পেয়ে আমার বাবা মা তো খুব খুশি।
আমিও খুব খুশি কারন দুই বাড়িতেই আমার সমবয়সী একটি করে ছেলে আছে। একজনের নাম বাপী,আরেকজনের নাম
তপন। বাপীর দুই দিদি ও এক বোন। তপনের একটি দিদি। আমরা সবাই বন্ধু হয়ে গেলাম। রোজ বিকালে খেলা আর
মাঝেমাঝেই পিকনিকের মত একসাথে খাওয়া দাওয়া। তপন ও তার দিদি পড়াশোনায় খুব ভাল। তারা পড়াশোনায় বেশি
সময় দেওয়ায় বাপীর সাথে আমার মেলামেশাটা বেশি হতে লাগল। একদিন বাপী বলল আজ তাড়াতাড়ি খেয়ে দুপুর
একটার মধ্যে আমাদের ছাদে চলে আসবি,তোকে একটা মজার জিনিস দেখাব। আমিও চরম কৌতুহল নিয়ে একটার মধ্যে
বাপীদের ছাদে গিয়ে হাজির হলাম।
আমার বোনের বয়স তিন বছর কম। এটি দক্ষ্মিণ ২৪ পরগনার একটি প্রান্তিক গ্রাম। আসলে বাবা কয়েকজন বন্ধু মিলে অনেকটা
জায়গা কেনেন। উদ্দ্যেশ্য ছিল বাগান পুকুর নিয়ে বাবা মা ভাই বোন এবং আমাদের সকলকে নিয়ে একসঙ্গে আনন্দে বাস
করা। কিন্তু তার সেই উদ্দ্যেশ্য সফল হল না। প্রথমত বাবার বন্ধুরা সেই সময় কেওই বাড়ি করলেন না এবং উত্তর
কলকাতার যে জায়গায় থাকতাম সেখানে বাড়ির কাছ দিয়ে গঙ্গা বয়ে গেছে ও অঞ্চলটি জমজমাট বর্ধিষ্ণু জায়গা। সেই জায়গা
ছেড়ে আমার ঠাকুর্দা ঠাকুরমা কাকা পিসিরা কেওই আসতে চাইলেন না। বাবার মনে তখন জেদ চেপে গেছে। মায়ের মত
নিয়ে আমরা চলে এলাম এই পান্ডব বর্জিত জায়গায়। আমাদের বাড়ির চারিদিকে যেদিকে দু'চোখ যায় আদিগন্ত ধানের ক্ষেত।
সিকি কিলোমিটারের মধ্যে কোন মনুষ্য বসতি নেই। একটি নির্জন দ্বীপের মত জায়গায় আমরা বাস করতে লাগলাম। বাড়ি
থেকে তিন কিমি দূরে একটি মিশনারী স্কুলে ভর্তি করা হল আমাকে। *** সময় টুকু বাদ দিয়ে বাড়িতে আমি,মা ও বোন
এই তিনটি প্রাণী। বাবা সকালে অফিস বেড়িয়ে যেতেন। ফিরতে কোন কোন দিন এত রাত হত যখন আমরা দুই ভাই বোন
ঘুমের ঘোরে।
এই কথা গুলি বলে নেবার কারন এই পরিবেশটি বোঝাতে পারলে মূল কাহিনীতে ঢুকতে সুবিধা হবে। যাইহোক এইভাবেই
আমাদের দিন কাটছিল। বর্ষার তিন চার মাস ছিল অবর্ননীয় দূরাবস্হা। আমাদের আনন্দ ছিল মাসে একবার দুই দিনের জন্য
মামাবাড়ি অথবা আমাদের পুরানো বাড়িতে বেড়াতে আসা। অথবা ঠাকুর্দা বা দাদামশাই অথবা মামা কাকারা কখনো বা মাসি
পিসিরা দুই এক দিনের জন্য বেড়াতে এলে। সেই দিনগুলিতে যেন আকাশের চাঁদ পেতাম আমরা। তাঁরা ফিরে যাবার সময়
কাঁদতে থাকতাম। এই ভাবেই কেটে যাচ্ছিল আমাদের গতানুগতিক জীবন। তখন না ছিল টেলিভিশন বা টেপ রেকর্ডার,
না ছিল ডিভিডি বা ভিসিডি। পড়াশোনার ফাঁকে বিনোদন বলতে আমার আট বছরের জন্মদিনে বাবার কিনে দেওয়া একটি
বুশ রেডিও। তাতে মাঝেমধ্যে নাটক বা যাত্রা শুনতাম বা কখনো গান শোনা হত। গান বলতে বেশির ভাগই রবীন্দ্রসংগীত।
রবীন্দ্র অনুরাগী বাবা ও মা এছাড়াও শুনতেন নজরুল,অতুলপ্রসাদ,দ্বীজেন্দ্র,রজনীকান্ত ও বাংলা আধুনিক গান।
আমাদের অবসর সময় আরও কাটত মায়ের মুখের গান বা ছোট বেলার গল্প শুনে। বছরে নিয়ম করে দু'বার বেড়াতে যাওয়া
ছাড়াও বাবা প্রচুর বই কিনতেন। পড়াশোনার বাইরে অনেক গল্পের বই পড়তাম।
এইভাবে কেটে গেল দীর্ঘ আট বছর। আমি তখন *** উঠেছি।১৮ বছর বয়সেও এই পরিবেশে থাকার ফলে এবং আমাদের মিশনারী
*** কঠোর অনুশাষনে থাকায় জৈবিক জগৎ বিশেষ করে নারী-পুরুষের যৌন সম্পর্ক সম্বন্ধে একেবারেই অজ্ঞ ছিলাম।
এমনকি নারী শরীর সম্পর্কে সাধারন ও স্বাভাবিক আকর্ষণটুকুও জন্মায় নি। কিন্তু একদিন সব তোলপাড় হয়ে গেল।
আমাদের পাশে তখন প্রায় একসাথে দু'টি বাড়ি তৈরী হল। দীর্ঘদিন বাদে প্রতিবেশী পেয়ে আমার বাবা মা তো খুব খুশি।
আমিও খুব খুশি কারন দুই বাড়িতেই আমার সমবয়সী একটি করে ছেলে আছে। একজনের নাম বাপী,আরেকজনের নাম
তপন। বাপীর দুই দিদি ও এক বোন। তপনের একটি দিদি। আমরা সবাই বন্ধু হয়ে গেলাম। রোজ বিকালে খেলা আর
মাঝেমাঝেই পিকনিকের মত একসাথে খাওয়া দাওয়া। তপন ও তার দিদি পড়াশোনায় খুব ভাল। তারা পড়াশোনায় বেশি
সময় দেওয়ায় বাপীর সাথে আমার মেলামেশাটা বেশি হতে লাগল। একদিন বাপী বলল আজ তাড়াতাড়ি খেয়ে দুপুর
একটার মধ্যে আমাদের ছাদে চলে আসবি,তোকে একটা মজার জিনিস দেখাব। আমিও চরম কৌতুহল নিয়ে একটার মধ্যে
বাপীদের ছাদে গিয়ে হাজির হলাম।
ফেলে আসা সেই দিনগুলি ১
Reviewed by Mr X
on
May 16, 2012
Rating:
No comments: